জাবিতে ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে ছাত্র বহিষ্কার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি না হয়েই এক ছাত্রীকে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সহযোগিতা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে উপাচার্য কোটায় ভর্তিচেষ্টার অভিযোগে এক ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিন্ডিকেট সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত মো. আল-আমিন শাহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪২ তম আবর্তনের ছাত্র ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সূত্রে জানা যায়, কলা ও মানবিকী অনুষদের (‘সি’ ইউনিট) অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মোফসেনা ত্বাকিয়া নামের এক ভর্তিচ্ছুকে উপাচার্য কোটায় ভর্তি করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করেন আল-আমিন। অগ্রীম ২০ হাজার টাকাও নেন তিনি। জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি করাতে ব্যর্থ হলেও ওই ছাত্রী ভুয়া রোল নম্বর ব্যবহার করে এক বছর ধরে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছিলেন। এতে সহযোগিতা করেছেন বহিষ্কৃত আল-আমিন। কিন্তু বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদনপত্র পূরণ করতে গিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) শিক্ষকদের কাছে ধরা পড়েন ত্বাকিয়া।
পরে বুধবার প্রক্টরিয়াল বডির কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মোফসেনা ত্বাকিয়া বিষয়টি স্বীকার করে মুচলেকা দেন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বহিষ্কৃত আল-আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় প্রক্টরিয়াল বডি। পরে বুধবার বিকালে ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের জরুরি সভায় আল-আমিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
ডিসিপ্লিন বোর্ডের সদস্য-সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা বলেন, ‘বিভাগীয় সভাপতির অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির সত্যতা পেয়েছি। ত্বাকিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নয়। তাকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’