বুধবার (১৬ জানুয়ারি) পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানিয়েছিলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কে কোনও হকার বসতে পারবে না। তবে সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, সলিমুল্লাহ সড়ক, চেম্বার রোড ও খানপুর হাসপাতালের সামনের সড়কে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হকাররা কেনাবেচা করতে পারবেন।
প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তের বিষয়টি হকার সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের ডেকে জানানো হলে তারা সিদ্ধান্ত মেনেও নিয়েছিল।
কিন্তু প্রথম দিনেই হকারদের এই বেপরোয়া আচরণে নগরবাসী প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য না করলেও এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ফুটপাতের হকাররা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। তারা অবিলম্বে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়নের দাবি জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রশাসনের নির্ধারণ করে দেওয়া নবাব সলিমুল্লাহ সড়ক ও খানপুর হাসপাতাল সড়কে কোন হকার বসেননি। শুধু নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কে অল্প কয়েক জন হকার দেখা গেছে।
বঙ্গবন্ধু সড়কে বসা হকারদের দাবি প্রশাসনের নির্ধারণ করে দেওয়া সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল খুব কম। সেখানে কোনও কাস্টমার যায় না। এছাড়া গত ২৬ দিন ধরে তারা রাস্তায় বসতে না পারার কারণে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। যে কারণে বাধ্য হয়েই ফুটপাতে পণ্য নিয়ে বসছেন।
নারায়ণগঞ্জ হকার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হকাররা বিচ্ছিন্নভাবে বঙ্গবন্ধু সড়কে বসেছিল। কারণ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে জায়গুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মাত্র ২৫ শতাংশ হকার বসার জায়গা রয়েছে। বাকি ৭৫ শতাংশ হকারের বসার জায়গা নিয়ে এখনও সমস্যা রয়েই গেছে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন চাইলে আমরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেব। আমি যেহেতু তদন্ত কমিটিতে আছি, সেহেতু এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, ‘সিটি করপোরেশন যেভাবে চাইবে, আমরা সেই ব্যবস্থাই নেব। আগামীকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যাতে নির্দিষ্ট সড়ক ছাড়া অন্যত্র হকাররা বসতে না পারে, সেজন্য নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’
আরও পড়তে পারেন:
না.গঞ্জে সংঘর্ষ: তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি
নারায়ণগঞ্জে হকার বসার সিদ্ধান্ত