প্রকৌশলীকে অপহরণের পর হত্যা: মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৩

গ্রেফতারের প্রতীকী ছবিকেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা মাল্টিফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিডকোর প্রজেক্ট ইনচার্জ প্রকৌশলী সিদ্দিক আহম্মদকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় মূল হোতাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া তিন জন হলেন- দলনেতা মো. রাসেল (৩০), হিরো হাওলাদার (৩১) ও মো. তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু (৩৩)। রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় ডিবি কার্যালয়ে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সাইদুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, গত বছরের ২ আগস্ট দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পানগাও এলাকায় বসুন্ধরা মাল্টিফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের অফিস থেকে রাত ৮টায় রাজধানীর মীরপুরের বাসায় যাওয়ার পথে প্রকৌশলী সিদ্দিক আহম্মদ অপহরণ হয়। অপহরণকারীরা কোম্পানির এমডি দিদারুল আলম ও প্রকৌশলীর ছেলে কামরুল ইসলামের কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ৩ আগস্ট অপহরণকারীরা প্রকৌশলী সিদ্দিককে একটি প্লটের ভেতর আটকে রেখে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ওইদিন রাতেই তারা একটি সিএনজিতে করে লাশটি আইনতা এলাকায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পাশে ফেলে রেখে যায় ।

পরের দিন ওই জায়গা থেকে প্রকৌশলী সিদ্দিকের লাশ উদ্ধার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ওই তারিখেই একটি মামলা করা হয়। পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা মহানগরী ও বরিশালের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের মূল হোতাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, অপহরণকারীরা ৯ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এরা সিএনজি দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে অপহরণ করে ছিনতাইসহ মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল । বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম, ডিবির ওসি শাহজামান, ডিবির ওসি তদন্ত নাজমুল হাসান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনেকে।