স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

কিশোরগঞ্জকিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মুক্তা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৪ মার্চ) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্বামী রফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

মুক্তা কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের বামুনকান্দি গ্রামের মৃত সনু মিয়ার মেয়ে। আড়াই মাস আগে করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রফিকুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই সে যৌতুক হিসেবে একটি ইজিবাইক দাবি করে। কিন্তু মুক্তার মা লুৎফুন্নেছা ইজিবাইক কিনে দিতে পারেননি। এরপর থেকেই মুক্তার ওপর নির্যাতন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন লুৎফুন্নেছা।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ৮ মার্চ রাতে তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গুরুতর দগ্ধ হয় মুক্তা। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত ১১ মার্চ মুক্তাকে আবারও কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ  বিকালে মারা যায় মুক্তা।

মুক্তার মৃত্যুর পরপরই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে খবর পেয়ে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ সন্ধ্যার দিকে স্বামী রফিককে আটক করে।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গৃহবধূর মৃত্যুর খবর জানার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পাঠিয়ে মুক্তার স্বামী রফিককে আটক করা হয়। এ সময় সে পালিয়ে যাচ্ছিল। অভিযোগ নিয়ে মুক্তার পরিবারের লোকজনকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তারা মামলা করলে রফিককে গ্রেফতার দেখানো হবে।

গুনধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল শাকের নূরু শিকদার জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। মেয়েটি আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে এটিও সত্য। কিন্তু কে বা কারা তাকে আগুন দিয়েছে বা কীভাবে দগ্ধ হয়েছেন তা তিনি জানেন না।