পর্নোগ্রাফি চক্রের ২৪ জন গ্রেফতার

গ্রেফতারের প্রতীকী ছবিনারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পর্নোগ্রাফি, পাইরেটেড সিডি ও জাল সনদসহ ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ও চলচিত্রে অশ্লীলতা এবং পাইরেসি বিরোধী টাস্কফোর্স। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অশ্লীল পাইরেটেড সিডি ও সিডি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। রবিবার (১৮ মার্চ ) সকাল থেকে সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত নরসিংদীর মাধবদী, ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার রেলওয়ে মার্কেটে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগর র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ সিও লে. কর্নেল কামরুল হাসান এসব তথ্য জানান।
লে. কর্নেল কামরুল হাসান জানান, রবিবার সকাল থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত র‌্যাব-১১ ও চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ও পাইরেসি বিরোধী টাস্কফোর্স যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে নরসিংদীর মাধবদী থানার সোনারবাংলা মার্কেট ,স্কুল মার্কেট ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার রেলওয়ে মার্কেট থেকে পর্নোগ্রাফি ও পাইরেসির সঙ্গে জড়িত ২৪ জনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে সিডি তৈরির কাজে ব্যবহৃত ২৪টি মনিটর, ২৪টি সিপিইউ, প্রায় ১৮শ পাইরেটেড সিডি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ডালিম (২৫), মো. কাওছার (২২), আরিফুল ইসলাম (২০), রাসেল মিয়া (২৫), ইব্রাহিম (৩০), নাহিদ হাসান (২২), এরশাদ মিয়া (২৬), সেলিম (২১), সোহাগ মিয়া (২৫), কাজী জুয়েল (২৬), মো. শামীম (২৭), ইদ্রিস মিয়া (৪০), শামীম মিয়া (২৫), রাজু আহমেদ (২৩), কাজী দীপু (২০), মামুন মিয়া (২৮), ইউসুফ মিয়া (২২), কাজী বিল্লাল (২০), শাকিল মিয়া (২৪), মনির হোসেন (৪০), রবিন দেওয়ান (৪২), আকাশ (৩৬), মাসুদ আলম (২৮), মাসুদ রানা (৩৭), এছাড়া রবিবার রাত নয়টার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকা থেকে জাতীয়পরিচয়পত্রসহ জাল সনদ তৈরির অভিযোগে মাসুদ রানা (২৬) নামে আরেক যুবককে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধর করা হয় জাল কাগজে তৈরি ৩৪টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ৯টি জন্ম সনদ, নাগরিকদের একটি খালি ফরম, ৮৫টি জাল সনদ তৈরির কাগজ। এ সময় জাল সনদ তৈরির একটি কম্পিউটার, একটি মনিটর ও একটি ল্যাপটপ, ৩ টি প্রিন্টার , একটি স্ক্যানার ও একটি মাউস জব্দ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলচিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নায়েক জায়েদ খান, সঙ্গীত শিল্পী মাইলস ব্যান্ডের ভোকাল শাফিন আহমেদ, চিত্রনায়িকা শাহনুর, কেয়া, সঙ্গীত শিল্পী মুন, এলিজা পুতুল, তাবিজ ফারুকসহ চলাচিত্র সংশ্লিষ্ট কলাকৌশলী ও অভিনয় শিল্পীরা।
চলচিত্র সমিতির শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘ভিডিও পাইরেসির কারণে আজ চলচিত্রাংঙ্গন ধ্বংসের মুখে। একজন প্রযোজক দুই তিন কোটি টাকা খরচ করে। কিন্তু সেই সিনেমা একটি চক্র পাইরেসি করে তার সঙ্গে অশ্লীলতা জুড়ে দিয়ে দেদারসে সিডি করে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে। যে কারণে মানুষ হলমুখি হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র থেকে অশ্লীলতা দূর করতে র‌্যাব, অশ্লীলতা ও পাইরেসি বিরোধী টাস্কফোর্স কাজ করছে। এরমই মধ্যে চলচ্চিত্র থেকে অশ্লীলতা দূর হয়েছে। এখন পাইরেসি বন্ধ করা গেলে চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরে আসবে এবং মানুষ হলমুখি হবে।’
র‌্যাব-১১ সিও লে. কর্নেল কামরুল হাসান জানান, অশ্লীলতা ও ভিডিও পাইরেসির জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প এবং সঙ্গীতাঙ্গন র্দীঘদিন ধরে ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে সময় পার করছে। অশ্লীলতা ও পাইরেসি চক্রের মূল উৎপাটন করার জন্য র্যা বের অভিযান অব্যহত থাকবে। ’