মানিকগঞ্জে বৃষ্টির পানিতে মরে গেছে ৪৯ হেক্টর জমির মরিচ গাছ

মরিচ গাছ মরে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকমানিকগঞ্জে বৃষ্টির পানি জমে প্রায় ৪৯ হেক্টর জমির মরিচ গাছ মরে গেছে। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মরিচ চাষিরা। অনেক চাষি মরিচ গাছ মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে অজ্ঞাত রোগকেও দায়ী করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, শিবালয় ও ঘিওর উপজেলার সবচেয়ে বেশি মরিচের আবাদ হয়। এবার জেলায় কাঁচামরিচের আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে,  যা গতবারের তুলনায় ৮২৪ হেক্টর বেশি। কিন্তু বেশিরভাগ এলাকার প্রতিটি জমিতেই পানি জমে মরিচ গাছ মরে গেছে।   

বইকা গ্রামের মরিচ চাষি  মাইনুদ্দিন মোল্লা জানান, এবার তিনি ৮১ শতাংশ জমিতে ২৪ হাজার মরিচের চারা রোপণ করেছেন। তাতে ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে ৮ হাজার মরিচ গাছ মরে গেছে।

বৃষ্টির পানি জমে মরে যাওয়া মরিচ গাছখেরুপাড়া গ্রামের কৃষক মো. নূরউদ্দিন জানান, তিনি এবার ৫০ শতাংশ জমিতে ১২ হাজার মরিচের চারা রোপণ করেছেন। এর মধ্যে পানি জমে প্রায় ৩ হাজার মরিচ গাছ মরে গেছে।

ভাদিয়াখোলা গ্রামের রেণু বেগম বলেন, তিনি ২৭ শতাংশ জমিতে মরিচের আবাদ করেছেন। তার ক্ষেতের অর্ধেক মরিচ গাছ মরে গেছে।

শাহিলী গ্রামের মরিচ চাষি সায়েদুর রহমান জানান, তিনি পৌনে দুই বিঘা জমিতে মরিচ গাছ লাগিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক দফা ভারি বৃষ্টি, ঝড়ো বাতাস ও শিলাবৃষ্টিতে তিন ভাগের দুই ভাগ মরিচ মরে গেছে।

মানিকগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে মরিচ গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছগুলো মরে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের কোনও প্রণোদনা আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানোনো হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার কোনও আশ্বাস পাওয়া যায়নি।