শ্রীপুরে হা-মীম গ্রুপের বিরুদ্ধে আরও ২ একর জায়গা দখলের অভিযোগ

গাজীপুরের শ্রীপুরে হা-মীম স্পিনিং লিমিটেড বন বিভাগের আরও দুই একর জায়গায় কাঁটাতারের প্রাচীর দিয়েছে। বন বিভাগ ওই প্রাচীরের অংশবিশেষ কেটে ভেতরে বন বিভাগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের নয়নপুর মৌজায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে হা-মীম ডেনিম লিমিটেডের বিরুদ্ধে নতুন করে বনের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

সাইনবোর্ড ঝুলানোর পরও দখলের শঙ্কা কাটছে না বন বিভাগের। এর আগেও প্রায় পাঁচ একর জায়গা দখল করে সেখানে বহুতল স্থাপনা করা হয়েছে বলে জানায় বন বিভাগ। অবশ্য পাঁচ একর জায়গা দখলমুক্ত করতে বন বিভাগ ২০০৭ সালে আদালতে উচ্ছেদ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার স্থায়ী নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষের ওপর ওই জায়গায় কোনও ধরনের কাজ এবং স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মামলা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বন কর্মকর্তারা।

বন বিভাগের সাইনবোর্ড এবং হা-মীম গ্রুপের দখল করা জমি

গাজীপুরের শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন জানান, শ্রীপুর উপজেলার ৪৯নং ধনুয়া মৌজার সিএস ১৯৫৯ ও ১৮৭৮ নং দাগে হা-মীম ডেনিম লিমিটেড প্রায় ১২ বছর আগে কৌশলে চার একর ৮০ শতক জায়গা জবরদখলের চেষ্টা করে। সেখানে তারা পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। আদালতে এ নিয়ে উচ্ছেদ মামলা চলমান ও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কারখানার লোকজন সেখানে স্থাপনা গড়ছেন।

রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে কৌশলে মাটি ভরাট করে আরও দুই একর জায়গা জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে হা-মীম লিমিটেড। গত বুধবার দুপুরে অধিক জনবল নিয়ে ওই দুই একর জায়গায় তারা কাঁটাতারের সীমানা প্রাচীর স্থাপন করে। খবর পেয়ে ওই দিনই বন বিভাগের লোকজন সেখানে বাধা দেয়। একপর্যায়ে কারখানা কর্মকর্তাদের সাথে বন বিভাগের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে কাঁটাতারের সীমানা প্রাচীর কেটে সেখানে বন বিভাগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। জমির প্রকৃতি পরিবর্তন ও দখল চেষ্টার ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। দখল ঝুঁকি ঠেকাতে বন বিভাগের কর্মীরা তৎপর রয়েছেন।

হামিম গ্রুপের দখন করা জায়গা

এ ব্যাপারে হা-মীম লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘যে জায়গাটি নিয়ে বন বিভাগের সঙ্গে মামলা রয়েছে সেখানে আগে থেকেই কাঁটাতারের প্রাচীর ছিল। পরে তারা সেখানে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে। বন বিভাগের অভিযোগ সঠিক নয়।

করাখানা কর্মকর্তার এ বক্তব্যের জবাবে রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, বনের জায়গা ক্রমান্বয়ে দখলে নিতে তারা মানুষকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।