ডাক্তার ছাড়া হাসপাতাল চালানোর অভিযোগে দুই লাখ টাকা জরিমানা

ফিরোজা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনিস্ট সেন্টারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছেমানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের পাশে গড়ে ওঠা ফিরোজা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডা. উত্তম কুমার সরকার ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় আড়াই বছর ধরে নিজস্ব ডাক্তার ছাড়াই ফিরোজা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি পরিচালনা করা হচ্ছে। একাধিকবার জরিমানা ও সতর্ক করার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব কোনও ডাক্তারের ব্যবস্থা করেনি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ১০ বেডের হাসপাতালের জন্য তিনজন ডাক্তার (৮ ঘণ্টা অন্তর) থাকার কথা থাকলেও সেখানে একজন ডাক্তারও নেই।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সাবরিনা শারমিন জানান, ওই হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনও ডাক্তার না পাওয়া, প্যাথলজিস্ট না থাকা, অপরিচ্ছন্ন পোস্ট অপারেটিভ রুমসহ জীবনহানি হতে পারে এ ধরনের বিভিন্ন অনিয়ম চোখে পড়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ সালের ৫৩ ধারা অনুযায়ী দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পরে হাসপাতালের মালিক ওয়াহিদ রহমান জরিমানার টাকা নগদ পরিশোধ করেন।

তিনি আরও জানান, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে হাসপাতালটির অনিয়মের বিষয়গুলো সমাধান করা না হলে পরবর্তীতে এটি বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ডক্টরস ক্লিনিক, আল রাফি ও লাইফকেয়ার হাসপাতাল ও ক্লিনিককে জরিমানা করেন।