২৬ জনের জন্য ২২ লাখ লোকের সমস্যা!

ডিএনডি বাঁধ এলাকায় জলাবদ্ধতানারায়ণগঞ্জ ডিএনডি বাঁধ এলাকায় ২৬ জনের অবৈধ স্থাপনার জন্য ২৬ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার সমস্যায় পড়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল মাশফিক আলম ভূইয়া। তিনি বলেছেন, ‘২০১৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের বেসিক সমস্যা সমাধান করার পর আর পানি জমবে না। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে ডিএনডিতে ২৪.৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। যার জন্য পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে ২৬ জন অবৈধ স্থাপনার মালিক আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়ে এসেছেন। এ ২৬ জনের জন্য ২২ লাখ লোকের সমস্যা হচ্ছে। আমরা এসব কিছুই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।’

রবিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রকল্পের পরিচালক মাসফিকুল আলম ভূইয়া এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার্স মেজর কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

ডিএনডি বাঁধ এলাকায় জলাবদ্ধতাতিনি আরও বলেন, ‘ডিএনডি প্রকল্পের অধীনে ৯৪ কিলোমিটার খালের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের ৫৪ কিলোমিটার বুঝিয়ে দিয়েছে। এখনও ৪০ কিলোমিটার বুঝিয়ে দেওয়ার বাকি। এর মধ্যে আমরা ৫০ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করে ফেলেছি।’

সীমানা নির্ধারণে (ডিমারকেশন) প্রকল্পের কাজের বড় বাধা হিসেবে মাসফিকুল আলম বলেন, ‘ডিমারকেশনের জন্য কাজে দেরি হচ্ছে। ডিসি অফিস ও কানুনগোপ এসে জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু অনেক পুরানো কাগজ হওয়া অনেক সময় না পাওয়ার কারণে এতে বিলম্ব হয়। এছাড়াও সরকারি অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে ঠিকভাবে সহযোগিতাও পাচ্ছি না।’

প্রসঙ্গত, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) সেচ প্রকল্প এলাকায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ডিএনডি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (ফ্রেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএনডি প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করা হয়। এর মেয়াদ শেষে হবে আগামী ২০২০ সালে।