জাপা নেতার বিরুদ্ধে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ

শরীয়তপুরশরীয়তপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব বদরুল আলম নান্নু মুন্সীর বিরুদ্ধে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রটি বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পালং থানা ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাতে নান্নু মুন্সী (৫০) বাড়িতে একা ছিল। এজন্য মাদ্রাসার দু’জন ছাত্রকে বাড়িতে ডেকে নেন। গভীর রাতে নান্নু মুন্সী এক ছাত্রকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বাইরে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ছাত্রটিকে বলেন। পরের দিন রবিবার দুপুরে পায়ুপথে প্রচণ্ড ব্যথা হতে থাকলে ছাত্রটি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিষয়টি জানান। শিক্ষকরা বিষয়টি ছেলের অভিভাবক ও মাদ্রাসা কমিটির লোকজনকে জানান। সন্ধ্যায় ছেলেটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ছাত্রটিকে সোমবার  সন্ধ্যায় হাসপাতালে আনা হয়। তার পায়ুপথে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এখন মোটামুটি সুস্থ আছে।
ছাত্রটির বাবা বলেন, ‘নান্নু মুন্সীর মতো মুরব্বি  লোক আমার বাচ্চা ছেলেটাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এমন খারাপ কাজ করলো। সে একটা নরপশু। আমি তার কঠিন বিচার চাই।’
মাদ্রাসার আবাসিক তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, নান্নু মুন্সীর পরিবার মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। উনি বাড়িতে একা থাকতে ভয় পাবেন বলে দুজন ছাত্রকে রাতে থাকার জন্য ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু উনি এরকম জঘন্য একটি কাজ করবেন কখনও ভাবিনি। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান নান্নু মুন্সী। সোমবার দুপুরে তার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শরীয়তপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে সত্য মিথ্যা জানি না।’


এ বিষয়ে পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে অবহিত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত ছেলের পরিবার বা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’