নারায়ণগঞ্জে শিশুর লাশ উদ্ধার, আটক ১

শিশু আলিফের লাশ জাড়িয়ে কাদছে বাবাচার বছরের ছেলে শিহাব উদ্দিন আলিফের লাশ কোলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাগলের মতো ছোটোছুটি করছেন বাবা আলমগীর হোসেন। পুলিশ, ডাক্তার কারও সান্ত্বনাতেই থামছে না বাবার কান্না। সন্তানের লাশ বাবার কোল থেকে নামাতে পারে না কেউ। কোলে করেই ছেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে যান বাবা। এই দৃশ্যে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঈদ করতে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন আলমগীর হোসেন। কিন্তু তার আনন্দ রুপ নিলো বিষাদে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

আলিফকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে প্রতিবেশীর বাড়ির একটি রুমে ফেলে রেখে যায় দুবৃত্তরা। নিখোঁজের ছয়ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে নগরীর জল্লারপাড়া থেকে হাত পা বাধাঁ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে আটক করেছে। এদিকে শিশুটিকে হত্যার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

নিহত আলিফের স্বজনদের বরাদ দিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির সামনে উঠোনে খেলা করছিল আলিফ। ওই সময় সে নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী মিলে আশেপাশের বাড়িঘর ও পাড়া মহল্লায় খোঁজাখুঁজি করলেও আলিফের কোনও সন্ধান পাওয়া যায় না। পরে বিকাল পাঁচটার দিকে প্রতিবেশী আলী খোকনের বাড়ির নীচতলার ভাড়াটের তালাবদ্ধ রুম থেকে এলাকাবাসী বস্তাবন্দি অবস্থায় আলিফের লাশ উদ্ধার করে ।

আলিফের বাবা আলমগীর হোসেন দীর্ঘ ১৫ বছর পর সৌদি আরব থেকে এবার ঈদ করতে দেশে এসেছেন। চার ভাই-বোনের মধ্যে আলিফ সবার ছোট।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, গত এক মাস আগে সম্রাট ও শহীদ নামে দুই যুবক রাজমিস্ত্রীর পরিচয় দিয়ে আলমগীরের প্রতিবেশী আলী খোকনের বাড়ির নীচতলার একটি রুম ভাড়া নেয়। তাদের রুমের তালা ভেঙেই আলিফের লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সম্রাটকে আটক করলেও শহীদ পলাতক রয়েছে। এসময় আলিফের দুই হাত বাঁধা ও মুখে রুমাল গুঁজে দেওয়া ছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। কারা, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্তের পর জানা যাবে। এ ব্যাপারে তদন্তসহ মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।