তিন পকেটমারকে পুলিশে দিলো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ

তিন পকেটমারভিডিও ফুটেজ দেখে তিন পকেটমারকে শনাক্ত করে পুলিশে দিয়েছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) তাদেরকে ধরা হয়েছে। তারা হলো- হান্নান মোল্যা (৬৫), আবু মুছা (৩৫)ও লোকমান শেখ।

মুকসুদপুর অগ্রণী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ২ অক্টোবর দুপুরে এক পেনশনভোগী তার জীবনের শেষ সঞ্চয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা মুকসুদপুর শাখা থেকে তোলেন। এক পর্যায়ে ছেড়া ফাটা নোট পাল্টানোর জন্য আবার ক্যাশ কাউন্টারে গেলে ব্যাংকের সোফায় বসা ৩ পকেটমার কৌশলে ওই পেনশনভোগীর ব্যাগ ব্লেড দিয়ে কেটে ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল নিয়ে যায়। পরে পেনশনভোগী ঘটনাটি শাখা ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজনকে জানায়। ততক্ষণে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় পকেটমারেরা। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

সিরাজুল ইসলাম জানান,পকেটমার দলের তিন সদস্যের একজন বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকালে ব্যাংকের সোফায় বসে। ওই সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাকে ডেকে নিয়ে ম্যানেজারের রুমে বসায়। তারপর অপর দুই সদস্যকে ব্যাংকের মধ্যে ডেকে এনে ভিডিও ফুটেজ দেখালে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এরপর টাকা উদ্ধার ও অন্যান্য আইনগত  ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদেরকে মুকসুদপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।

মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত চলছে।

এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সালাম ও এএসআই মহেশ বিশ্বাস জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। আটকদের মোবাইল ট্র্যাকিংসহ অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরো গ্যাংকে আইনের আওতায় এনে বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হবে।