কিশোরীকে পতিতাবৃত্তিতে নামানোর চেষ্টা, ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩

এক কিশোরীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাসহ তিন জন গ্রেফতারনরসিংদীর পলাশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে এক কিশোরীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে এক কিশোরীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পরে শনিবার (১৩ অক্টোবর) তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাউছার হামিদ, রোকেয়া বেগম ও তার স্বামী সাব্বির হোসেন।

পলাশ থানার এসআই মীর সোহেল রানা জানান, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় বিভিন্ন অসহায় কিশোরীদের কাজের কথা বলে তাদের সাঙ্গে প্রতারণা করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে আসছিল। তাদের কথামতো এ কাজে জড়িত না হলে বিভিন্ন সময় তারা কিশোরীদের মারধর ও অশ্লিল ভিডিও ধারণ করে হয়রানি করতো। এ ধারবাহিকতায় এক কিশোরীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাকে ঘরে বন্দি করে এ কাজে জড়িত হওয়ার জন্য চাপ দেয় ছাত্রলীগ নেতা কাউছার ও তার সহযোগীরা। তবে তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় তারা ওই কিশোরীকে মারধর করেন। পরে ওই কিশোরীর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই কিশোরী থানায় মামলা দিলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা জানান, ছাত্রলীগ নেতা কাউছার বিভিন্ন সময় এলাকার অসহায় মেয়েদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অসামাজিক কাজে জড়িত হতে বাধ্য করতো। কাউছারের মোবাইলফোনে একাধিক নারী-পুরুষের অসামাজিক কাজের ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।