জামার রঙ দেখে দগ্ধ মেয়েকে শনাক্ত করলেন মা

আঁখি আক্তারপরিচয় মিলেছে দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার করা আগুনে পোড়া লাশের। মেয়ের জামার রঙ দেখে লাশ শনাক্ত করেছেন মা। তার নাম আঁখি আক্তার (১৪)। তাদের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে।

সোমবার আঁখির মা সেলিনা বেগম মেয়ের পরা গোলাপি রঙের জামার কাপড় দেখে তাকে শনাক্ত করেন। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার একথা জানিয়েছেন।
খালা রেবেকা জানান, আঁখির জন্মের আগেই তার বাবা আবুল হোসেন মারা যান। এরপর থেকে মা সেলিনা বেগমের সঙ্গে নানাবাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামে থাকতেন। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। সেলিনা তার দুই বোনের সঙ্গে সাভারের হেমায়েতপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকেন। কয়েক দিন আগে আঁখিকে নিজের কাছে এনে রেখেছিলেন সেলিনা। ১৮ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে দিঘুলিয়ার উদ্দেশে আঁখিকে তার খালু শাহাদৎ হেমায়েতপুর থেকে বাসে তুলে দেন। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। দৌলতপুরে 'কিশোরীর লাশ উদ্ধারের' খবর পেয়ে তারা মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল মর্গে এসে আঁখিকে শনাক্ত করেন।

ওসি সুনীল কুমার কর্মকার জানান, পোশাক ও মুখমণ্ডলের আকৃতি দেখে আঁখিকে শনাক্ত করেছেন তার মা। মায়ের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। আঁখির হত্যার মোটিভ নিয়ে তদন্ত চলছে।