গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, খেলার মাঠে বৈদ্যুতিক লাইট লাগাতে দেরি হওয়ায় তপু নামের এক তরুণ কানার ঘরের কানা বলে শ্রাবনকে গালি দেয়। শ্রাবনও পাল্টা গালি দেয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে নাহিদ (১৫), সরু মিয়া (৬৫) ও জাহিদ হাসান মায়াসহ তপুর পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। তারা শ্রাবন ও তার সমর্থকদের মারধর করে। একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে শ্রাবন দৌড়ে বাড়ির দিকে ছুটে যাওয়ার সময় তার বুকের বাঁ পাশে নাহিদ ছুরিকাঘাত করে। এতে শ্রাবন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহত শ্রাবণ, ইমরান ও মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাতেই শ্রাবন মারা যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত ইমরানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহত অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সরু মোল্লাকে (৬৫) আটক করেছে।’
ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, আটক সরু মোল্লা মৃত তালেবর মোল্লার ছেলে। নিহত শ্রাবন মহানগরের গাছা থানার চান্দরা এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে। সে গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
এদিকে সহপাঠীকে খুন করার প্রতিবাদ, অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সোমবার নিহতের সহপাঠীরা ক্লাস বর্জন করে বিদ্যালয়ের পাশের সড়কে বিক্ষোভ করেছে।
ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, হামলা ও নিহতের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।