শ্রীপুরে স্কুলছাত্র রাকিন হত্যায় গৃহশিক্ষক ও তার সহযোগী আটক

রাকিনের হত্যাকারী গৃহশিক্ষক ও তার সহযোগী

গাজীপুরের শ্রীপুরে মুক্তিপণের দাবিতে স্কুলছাত্র সাদমান ইকবাল রাকিনকে (১০) অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে গৃহশিক্ষক ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। রবিবার রাতে শ্রীপুরের ফাউগান গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, গৃহশিক্ষক পারভেজ শিকদার (১৮) ও তার সহযোগী (১৬)। পারভেজ ২০১৭ সালে ফাউগান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাশ করে শিমুলতলী গাজীপুর মহানগরের শিমুলতলী এলাকার কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এগ্রিকালচার শাখায় ভর্তি হয়েছে। পারভেজের সহযোগী ফাউগান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়ে।

নিহত রাকিন শ্রীপুরের প্রহলাদপুর এলাকার ফাউগান গ্রামের বাসিন্দা ও গাজীপুর জেলা পরিষদের কার্য সহকারী শামীম ইকবালের ছেলে। রাকিন চলতি বছর ফাউগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষা দিয়েছিল।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, ‘রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রাকিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। রাকিনের বাবার মামলায় অভিযোগ করেন, গত ৫ ডিসেম্বর মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদের যাওয়ার জন্য বের হয় রাকিন। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবার মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। ১১ ডিসেম্বর উপজেলার ফাউগান গ্রামের বাড়ির কাছে বাঁশঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

রাকিনের বাবা সৈয়দ শামীম ইকবাল বলেন,‘প্রায় ৬ মাস আগে তার স্ত্রীর ব্যবহার করা একটি মোবাইল সেট সিমসহ হারিয়ে গিয়েছিল। তারা মোবাইল হারানোর ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেননি। তার হারানো সিমের নাম্বার থেকেই ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরনকারীরা। পরে তারা মোবাইল বন্ধ করে রাখে। এ ঘটনায় তিনি শ্রীপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু সাদমান ইকবাল রাকিন (১০)। নিখোঁজের ৬দিন পর ১১ ডিসেম্বর তাদের বাড়ি কাছে বাঁশঝাড় থেকে পুলিশ রাকিনের লাশ উদ্ধার করে।