সৌন্দর্য বর্ধন নয়, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে রায়পুরা পৌর গোলচত্বর

Narsingdi Municipal roundaboutসৌন্দর্য বৃদ্ধি ও জনসাধারণসহ বিভিন্ন যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয় রায়পুরা পৌর গোলচত্বর। কিন্তু অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকায় এটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অবাধে ময়লা ফেলা ও পোস্টার-ব্যানারের দখলদারিত্বে চত্বরটি সৌন্দর্য বর্ধনের বদলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সম্প্রতি গোলচত্বরটির নির্মাণ সম্পন্ন  ও সেখানে একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌরসভার নির্ধারিত ময়লা-আর্বজনা ফেলার স্থান না থাকায় চত্বরটিতে অবাধে ফেলে রাখা হয় অপচনশীল পলিথিন ব্যাগ, অব্যবহৃত জিনিসপত্র, দোকানের মেয়াদোত্তীর্ণ ও উচ্ছিষ্ট খাবার। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনের দখলে চত্বরটি হারাচ্ছে সৌন্দর্য। অল্প বৃষ্টি বা বাতাসে এখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে র্দুগন্ধ। জমে থাকা ময়লা-আর্বজনার স্তূপ থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধ বাতাসে মিশে গিয়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
পথচারীরা জানান, সারাক্ষণ পঁচা গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। আর বৃষ্টির পর রোদের তাপে দুর্গন্ধের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পলিথিন ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক ও ময়লা-আর্বজনা বাতাসের সঙ্গে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। রায়পুরা উপজেলা উদীচী সংসদের সভাপতি মহসিন খোন্দকার বলেছেন, 'রায়পুরার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রথম দৃষ্টিই পড়ে গোলচত্বরটির ওপর। এতে করে উপজেলার বাইরের দর্শনার্থীদের কাছে আমাদের পৌরসভার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অতিদ্রুত চত্বরটি সংস্কার ও সেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মরণে একটি ভাস্কর্য নির্মাণের মাধ্যমে স্থানটির স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।'
যোগাযোগ করা হলে রায়পুরা পৌরসভার মেয়র জামাল মোল্লা বলেছেন, চত্বরটির পাশে গড়ে ওঠা ফলের ব্যবসায়ীরা দোকানের উচ্ছিষ্ট গোলচত্ব ফেলার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পৌরসভার লোকবল দিয়ে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন অপসারণ করা হলেও নিময় না মেনে রাতের আঁধারে আবারও সেগুলো লাগানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ চত্বরটি নিমার্ণের জন্য চলতি মাসে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এর নামকরণ করা হবে ‘স্বাধীনতা চত্বর।’সেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদের স্মরণে স্থাপিত হবে একটি ভাস্কর্যও।