নদীপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস অতিরিক্ত ডিআইজি’র

নারায়ণগঞ্জনদীপথে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (উত্তর) মাহবুবুর রহমান। বুধবার(৩০ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ থানায় পুলিশ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন ।
ডিআইজির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার মাস্টার বলেন, ‘সুনামগঞ্জ থেকে একটি পণ্যবাহী নৌযানকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আসতে কমপক্ষে ২৬টি স্পটে চাঁদা দিতে হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ’র থেকে ইজারার টোল আদায়ের নামে এভাবে বিভিন্ন রুটেই নৌযান শ্রমিকরা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। চাঁদা না দিলেই নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এছাড়া মেঘনা নদীর হরিনাঘাট, বরিশালের হিজলা দুলাখোলা, চাঁদপুরের এখলাছপুর, মোহনপুর, ষাটনল, মেঘনা তেতইতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত বালুবাহী বাল্কহেডসহ অসংখ্য নৌযান ডাকাতের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন। ’
সবুজ শিকদার মাস্টার আরও বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র টোল আদায়ের নিয়ম হচ্ছে কোনও জাহাজ যদি নদীর তীরে নোঙর করে রাখে এবং লোড আনলোড করে তাহলেই তাকে টোল দিতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম না মেনে বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এছাড়া অনেক স্থানে অসাধু বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা ও নৌপুলিশ সদস্যদের দ্বারাও হয়রানির শিকারও হচ্ছেন। ’
এ ব্যাপারে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (উত্তর) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নৌ পুলিশ নদীপথে চলাচলরত নৌযানের যাত্রী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার লক্ষ্যেই কাজ করে আসছে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ’র নিয়মনীতি না মেনে কেউ যদি চাঁদাবাজি ও ডাকাতি করে তাহলে এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে । ’
এসময় উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (ঢাকা অঞ্চল) হুমায়ন কবির, নারায়ণগঞ্জ নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহনেওয়াজসহ অনেকে।