১৯৭০ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৬৮ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। পাঠদানে রয়েছেন সাতজন শিক্ষিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে একটি আধাপাকা চৌচালা ঘরে তিনটি শ্রেণি কক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। যা ঝড়ের পর ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কদিন বাদেই। তাই খোলা আকাশের নিচেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। তবে বিদ্যালয়টি শহর রক্ষা বেড়িবাঁধের ওপারে পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায়, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে তা আবারও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে।
নদী ভাঙতে ভাঙতে বিদ্যালয়ের কাছে এসে ঠেকেছে। কালবৈশাখীর তাণ্ডব ও নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে আয়েশা জানায়, ‘বিদ্যালয়ের এই খারাপ অবস্থায় আমাদের খোলা আকাশের নিচে পড়তে হচ্ছে। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে লেখাপড়া করতে কষ্ট হচ্ছে।’
প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী নূপুর জানায়, ‘সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, অতিদ্রুত আমাদের স্কুলটি মেরামত করে দেওয়া হোক।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা খাতুন আন্না বলেন, ‘গত রবিবার (৩১ মার্চ) কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। এতে করে বর্তমানে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও পাঠদান সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আগামী ২৩ এপ্রিল প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। শিশুরা যেন আর কষ্ট না করে সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।’
রাজবাড়ী সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসরিন আক্তার জানান, ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে যাওয়ায় সেখানে পাঠদানের সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের পাশে থাকা মাদ্রাসায় পাঠদান চালিয়ে যেতে শিক্ষকদের বলেছি। বিদ্যালয়টির মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জরুরি বরাদ্দ পেলে বিদ্যালয়টির মেরামত করে দ্রুত পাঠদান স্বাভাবিক করতে পারবো বলে আশা করছি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাঈদুজ্জামান খান জানান, জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দেওয়া হযেছে। পাঠদান চলমান রাখতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টি মেরামত করার জন্য সহযোগিতা করা হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের আশপাশে ভালো জায়গা পেলে এলজিইডি এর বাস্তবায়নে ও পিইডিপি তিন প্রকল্পের অর্থায়নে অবকাঠামোর উন্নয়ন করে দেওয়া হবে।