কিশোরগঞ্জের দুই উপজেলায় বজ্রাঘাতে তিন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১১ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেলার ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে ভৈরবের দুই জন ও কুলিয়ারচরের একজন রয়েছেন। এ ছাড়া ভৈরব ও হোসেনপুর উপজেলায় বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত রয়েছেনে আরও দুই জন।
মারা যাওয়া কৃষকরা হলেন- উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার আফসর উদ্দিন মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৬০), শ্রীনগর ইউনুছ মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (২৮) ও কুলিয়ারচর উপজেলার হাজরি নগর এলাকার সফিক ইসলাম সফু মিয়ার ছেলে কবির হোসেন (২৫)।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দমকা হাওয়া ও বজ্রাঘাত শুরু হয়। এ সময় চারদিক অন্ধকার হয়ে পড়ে। ভারী বৃষ্টির সময় ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের ফারুক মিয়া হাওরের জমিতে ধান কাটতে যান এবং একই উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফয়সালও বাড়ির পাশের জমিতে ধানের খড় আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়।
অপরদিকে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের হাজারীনগর গ্রামের কবির হোসেন জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হন। কবির ভৈরবের হাজী আসমত কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। পরে তাদের স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. উম্মে হাবিবা জুঁই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিকাল ৪টার পর বজ্রাঘাতের তিন জন রোগী আনা হয়। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারি হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। এ সময় আরও একজনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে, তাকে ইসিজি করা হচ্ছে। গুরুতর আহত মনিরের (২৫) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলায়।
এ দিকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, একই সময় জেলার হোসেনপুর উপজেলার কুড়িঘাট এলাকায় বজ্রাঘাতে আহত হন আবু বাক্কার নামে এক ব্যক্তি। তাকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।