‘৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শরীয়তপুরের চরে বিদ্যুৎ সংযোগ’

বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনামুল হক শামীমপদ্মা ও মেঘনা নদীর বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ এবং ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে চরের প্রতিটি পরিবার বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।

সোমবার (২২ এপ্রিল) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নওপাড়ায় উপকেন্দ্রটি উদ্বোধন করে তিনি একথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নির্বাচনি ওয়াদা ছিল দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া। পদ্মা নদীতে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সাতটি ইউনিয়নের সব পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।’

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর তীর হতে চরগুলোর দূরত্ব ছয়-সাত কিলোমিটার। ওই দূরত্ব দিয়ে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারছিল না। শরীয়তপুর-২ আসনের এমপি এনামুল হক শামীমের উদ্যোগে মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ওই চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করে। মুন্সীগঞ্জ আর নড়িয়ার নওপাড়ার মাঝে পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটার। ওই এক কিলোমাটার অংশ সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়। সাতটি ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ২৩০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ চলছে। ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য নওপাড়া এলাকায় ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় মুন্সি পরিবার উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দুই একর ২৫ শতাংশ জমি দান করেছে।