পাকিস্তানি কিশোরী ‘ধর্ষণ’: দুই ভাই চার দিনের রিমান্ডে

আদালতে নেওয়া হচ্ছে দুই আসামিকে (ছবি– প্রতিনিধি)টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বেড়াতে আসা পাকিস্তানি কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আল আমিন ও তার ভাই সুমনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রূপম কুমার দাস এ আদেশ দেন। এদিকে, আল আমিনের মা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন গ্রেফতার হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম থেকে মামলার প্রধান আসামি আল আমিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর আজ (বুধবার) আল আমিনকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির করেন।

এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানি কিশোরী দোভাষীর মাধ্যমে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন মাহবুবের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। বর্তমানে ওই কিশোরী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিশোরীর জন্য ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সে এখন বিপদমুক্ত।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালপুর থানার এস আই সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আল আমিন ও তার ভাইকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত তাদের চার দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন। আল আমিনের ভাই সুমন অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিল। সুমনকে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করা হয়।’

গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, ‘ভিসা নিয়ে পাকিস্তান থেকে মায়ের সঙ্গে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই কিশোরী। তিনি পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক এবং সেখানকার একটি স্কুলের ছাত্রী। গত ১৬ এপ্রিল রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় তাকে চাচার বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে তার আপন চাচাতো ভাই আল আমিন। পরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। গত ১৭ এপ্রিল রাতে আল আমিনসহ তিনজনকে আসামি করে মেয়েটির মা নীলুফার বেগম গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ গত ১৮ এপ্রিল ভোররাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। ওই দিনই আল আমিনের মাকে গ্রেফতার করা হয়।’