দণ্ডপ্রাপ্ত নাসিমা বেগম নরসিংদীর বেলাব উপজেলার চর আমলাব এলাকার মো. শাফিউদ্দিনের মেয়ে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর মৃত্যুর পর বেলাব উপজেলার চর আমলাব এলাকার বাবার বাড়িতে চলে আসেন ফিরোজা বেগম (৫০)। তার সঙ্গে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় চাচাতো বোন নাসিমা বেগমের। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে নাসিমা বেগম ও তার ছোটভাই অন্তরসহ কয়েকজন ফিরোজাকে মারধর করেন। এতে ফিরোজার বাম চোখ অন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনায় সাত জনকে আসামি করে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতে মামলা করেন ফিরোজার ভাই কাজল মিয়া। ২০১৫ সালে ওই মামলার রায়ে অন্তরকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং নাসিমা বেগমসহ পাঁচ আসামি ছয় মাস জেল খাটার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
ওই মামলায় আপোস মীমাংসা করতে না পারায় ক্ষোভ থেকে মামলার বাদী কাজল মিয়া ও ফিরোজা বেগমের মেয়ের জামাই রতন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন নাসিমা। পরে আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ওই মিথ্যা মামলার অভিযোগে নাসিমার বিরুদ্ধে আবারও পাল্টা মামলা করেন কাজল মিয়া। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত নাসিমাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী খন্দকার হালিম জানান, নিশ্চয়ই কোনও অসৎ লোকের পরামর্শে মিথ্যা মামলাটি করেছিলেন নাসিমা বেগম। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত তাকে সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন। আর জরিমানার ২০ হাজার টাকা মামলার বাদীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।