মাদারীপুরে মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি’র হত্যাকারী গ্রেফতার

মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ইজবাইকচালক

মাদারীপুর শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাদ্রাসা ছাত্রী দীপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন খান নামে এক ইজিবাইক চালককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮। শনিবার (২০ জুলাই) সকালে র‌্যাব-৮ বরিশাল ক্যাম্পের সিও এডিশনাল ডিআইজি আতিকা ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে দীপ্তি আক্তারের (১৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৩ জুলাই শনিবার বিকেলে এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তখন অজ্ঞাতনামা কিশোরী হিসেবে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। পরে ওই কিশোরীর জন্মগতভাবে বাঁকা একটি আঙ্গুল ও শিশু বয়সে কেটে যাওয়া কান দেখে লাশটি শনাক্ত করা হয়। নিহত দীপ্তি মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনাচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে। গত ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকায় তার বোনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তিনি  নিখোঁজ ছিল। ঘটনার পর থেকেই মামলাটি স্পর্শকাতর হিসেবে তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৮ বরিশাল ক্যাম্পের সিও এডিশনাল ডিআইজি আতিকা ইসলাম আরও জানান, দীপ্তি গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বৃষ্টির মধ্যেই শহরের ইটেরপুল থেকে চরমুগরিয়ার উদ্দেশে একটি ইজিবাইকে ওঠেন। ইজিবাইকে আর কোনও যাত্রী না থাকায় চালক সাজ্জাদ হোসেন খান চরমুগরিয়ার দিকে না গিয়ে বাসায় একটু কাজ আছে বলে দীপ্তিকে নিজের বাড়ির দিকে নিয়ে যায়। তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়ি না থাকার সুযোগে সে দীপ্তিকে জোর করে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে দীপ্তিকে হত্যা করে ইটের সঙ্গে বেঁধে পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়। দুইদিন পর লাশটি ভেসে উঠলে উৎসুক জনতার মত সাজ্জাদ হোসেন খানও  দেখতে যায়।

র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাজুল ইসলাম জানান, দীপ্তির হত্যাকারী সাজ্জাদ হোসেন খান ১৯৯২ সালে সাত বছর বয়সী এক শিশুর কানের গহনা চুরি করার সময় তাকে গলাটিপে হত্যার অপরাধে ১৮ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করে ২০১১ সালে মুক্তি পায়। অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন খানকে উদ্ধার করা আলামতসহ মাদারীপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।