বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকহারের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব খাল, ছোট-বড় নদীর খনন কাজ শেষ হলে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে আমাদের দেশের মানুষের ক্ষতি করতে পারবে না।’
জাহিদ ফারুক বলেন, ‘আমাদের দেশ নদীমাতৃক। সব জায়গায় কম বেশি নদীভাঙন থাকে। ভাঙন রোধে নদীশাসন করা হচ্ছে। এ জন্য খনন কাজও সারা বছর অব্যাহত রাখতে হবে, যা ব্যয়বহুল। তাই আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাট-বাজার ও লোকালয় এলাকার ভাঙন রোধে কাজ করছি।’
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকার সবসময় সচেতন রয়েছে। এর একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান অচিরেই হবে।’
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজি মাহফুজুর রহমান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মন্টু কুমার বিশ্বাস, প্রধান প্রকৌশলী একেএম ওয়াহেদ উদ্দীন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল হেকিম, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য, মুকসুদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাবির মিয়া, মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা আলী, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান খান, উরফি ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল গাজীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পসারগাতি ও গোবিন্দপুরের বাওর এলাকা, কাশিয়ানী উপজেলার ফলসি, সরদার বাড়ি ভরাট খাল, গোপালগঞ্জ সদরের মধুমতি নদীর জয়বাংলা এলাকার ভাঙনকবলিত স্থান, এমবিআর চ্যানেলের মানিকহার ও হরিদাসপুরের ভাঙন ও এমবিআর প্রকল্পের বোটপাস কাম ভরাটখাল পরিদর্শনসহ আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেন।