ভোলাব পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, ৩ মে উপজেলার পূর্বাচলের ১৯ নং সেক্টরের রঘুরামপুর ঝিলে এক তরুণের মৃতদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাশাপাশি পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালানো হয়। ৪ দিন পরও পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় পুলিশ নিজ উদ্যোগে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কালনী সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করে। পরিচয় শনাক্তের জন্য লাশ উদ্ধারের পর ছবি তুলে তিনি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। চলতি মাসে সেই ছবি চোখে পড়ে নিহতের ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম রবিনের। পরে নিহতের মা হালিমা বেগম ছেলের কাপড়-চোপড় আর লাশের ছবি দেখে নিশ্চিত হন যে এটা তার নিখোঁজ ছেলে তাসিন (১৭)। গত সপ্তাহে তাসিনের মা ভোলাব ফাঁড়িতে এসে বিষয়টি জানান।
এসআইস আরও জানান, পরিবারের কাছ থেকে তাসিনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুদের নাম সংগ্রহ করে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে খিলগাঁও তিলপাড়া এলাকার মান্নান মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক ইমরানকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ২ মে তারা ৯ বন্ধু পূর্বাচলের ১৯ নং সেক্টরের রঘুরামপুর এলাকায় ঘুরতে গিয়ে ঝিলে গোসলে নামে। তাসিন সাঁতার না জানায় ডুবে মারা যায়। তার কথা সন্দেহজনক হওয়ায় তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ শাওন,আব্বাস ও শামীম নামে আরও তিন জনকে আটক করে। তারাও পুলিশকে একই কথা বলে। কিন্তু ময়নাতদন্তে লাশের পেটে পানির আলামত না থাকায় পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা জানায়, পূর্বশত্রুতার জেরে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকেই তাসিনকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু করে ইমরান। অন্যান্যাদের যোগসাজশে ২ মে পূর্বাচলে এনে তাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ঝিলে ফেলে দেয়। আটক চার জনই বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড মাহমুদুল মোহসিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।