গত এক মাসে শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের গাড়ারন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেলিহাটী ইউনিয়নের বেকাসাহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনসহ প্রায় সব বিদ্যালয় ভবন পতাকার রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। অনেক স্কুলে এখনও চলছে রঙের কাজ।
বেকাসাহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিথিলা জানায়, কখন স্কুলে যাওয়ার সময় হবে সেই অপেক্ষায় থাকি।
একই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আকিবুল হাসান বলে, ‘জাতীয় পতাকার রঙে এখন আমাদের পাঠশালা রঙিন।’
পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমাদের স্কুল আমাদের রাষ্ট্রীয় ঠিকানা।’
ফজলুল হক নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘জাতীয় পতাকার রঙে বিদ্যালয়ের রঙ হওয়ায় শিশুদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে সমৃদ্ধ করছে।’
গাড়ারন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ মণ্ডল বলেন, জাতীয় পতাকার রঙ কোমলমতি শিশুদের বেশি আকৃষ্ট করে। শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করে তুলতে এটি একটি অনন্য উদ্যোগ।
গাড়ারন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাজেদা পারভীন বলেন, ‘জাতীয় পাতাকার রঙে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রাঙানোর ফলে শিশুরা নতুন রূপ পেয়েছে স্কুল। আর শিক্ষার্থীরা নতুন পরিবেশ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত।’
শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, এলাকাবাসী দেখছে তাদের সন্তানরা এখন লাল সবুজ ভবনে পড়ালেখা করছে। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও পতাকার চেতনা কোমলমতি শিশুদের আকৃষ্ট করেছে।
গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, মনে দেশপ্রেম থাকলেও তার একটি বহিঃপ্রকাশ প্রয়োজন। আর সে প্রয়োজন থেকেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে লাল-সবুজের রঙে সরকারি শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে রাঙানো হচ্ছে। এতে শিশুরা বিদ্যালয়ে যাতায়াতে উদ্বুদ্ধ এবং উপস্থিতির হার বাড়ছে। তাছাড়া শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে দেশপ্রেম লালনের একটি বিষয় স্থায়ী হয়ে থাকবে।