এর আগে, আন্দোলনের মুখে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল ছাড়েননি। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ সোমবারও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে। ভিসির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা ভিসির নানা অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসি’র পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ঝড়, বৃষ্টি বা অন্য যতো ধরনের বাধাই আসুক না কেন তারা তা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। যতক্ষণ না দুর্নীতিবাজ ভিসি পদত্যাগ করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এদিকে, শনিবার ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার পর আবারও হামলার আশঙ্কায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবীর পদত্যাগ করেন। পরে এ হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তাদেরকে তদন্ত করে তারা আগামী ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ক্যাম্পাস উত্তাল থাকায় ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়াসহ আরও কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।