ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনিক ভবনের প্রতিটি ফটকে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করায় প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজ নতুন প্রশাসনিক ভবনে নিজেদের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে আন্দোলনকারীদের বাধায় ফিরে যান।
উপাচার্যকে অপসারণের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন। তিনি বলেন, ‘আমরা মহামান্য আচার্যকে ফ্যাক্সের মাধ্যমে বর্তমান উপাচার্যকে অপসারণের যৌক্তিকতা জানাবো। উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়ে তাকে অবহিত করবো।’ বৈঠক করে দুপুরের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান অধ্যাপক রায়হান রাইন।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক জানান, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা ধর্মঘটের আওতামুক্ত রয়েছে।
এর আগে, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তুলে তার স্বেচ্ছায় পদত্যাগে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা। এই সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় বুধবার থেকে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আন্দোলনরতদের দাবি ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করবেন না বলে জানান।
এদিকে, উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ ‘মিথ্যা’ দাবি করে বৃহস্পতিবার গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছেন উপাচার্য সমর্থিত আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনে গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বুধবারও তারা ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন।