দাখিলের শিক্ষার্থী ইয়ামিন শিকদার, মাহামুদুল হাসান, রমজান ফকির, ইয়াসিন খান, রহমত শেখ, রিপন ও ইয়াসিন শেখ জানায়, বুধবার তাদের বাংলা পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসাইন কাঁচি দিয়ে ২০ ছাত্রের চুল কেটে দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদের তারা পরীক্ষার হল ত্যাগ করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ছাত্র জানায়, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পর হঠাৎ হুজুর হলে ঢুকে ছাত্রের চুল কাটতে শুরু করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাদের দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেন তিনি। পরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বাকের হোসাইনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি পরীক্ষার আগের দিন সব ছাত্রকে চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ায় তাদের চুল কেটে দিয়েছি। আমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এ কাজ করেছি। তবে কাউকে ফরম পূরণ করতে দেবো না, এ কথা বলিনি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায়, বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’