নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে যুবদলের সংঘর্ষে আহত ১০

র‌্যালি ছত্রভঙ্গ করেতে লাঠিচার্জ করা হচ্ছেনারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে জেলা ও মহানগর যুবদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে যুবদল নেতারা দাবি করেছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি করতে গেলে রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে নগরীর মণ্ডলপাড়া ও চাষাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পাটকেল ছুড়ছেন একজন যুবদলকর্মীপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সকাল পৌনে ১০টায় নগরীর মণ্ডলপাড়া এলাকায় জেলা ও মহানগর যুবদলের একাংশের নেতাকর্মীরা যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে একটি র‌্যালি বের করেন। র‌্যালিটি বঙ্গবন্ধু সড়কের ডিআইটি চত্বরের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সামনের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে যুবদলের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই মিছিলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

ব্যানার কেড়ে নেওয়া হচ্ছেসাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আমরা শান্তিপূর্ণ র‌্যালি করছিলাম, কিন্তু পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের র‌্যালিতে লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশের কাছে সংবাদ ছিল যুবদল নেতাকর্মীরা মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুর করতে পারে। এ জন্য তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

একজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশএদিকে, নগরীর চাষাড়ায় প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি করতে চাইলে পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি ও ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্যে নেতাকর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, যুগ্ন আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

তৈমুর আলম খন্দকারসহ অন্য নেতারা পুলিশি বাধার শিকারসমাবেশে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও সরকার তার চিকিৎসা করাচ্ছে না। তাকে জেলের ভিতর হত্যা করার নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।’ তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, পুলিশি রাষ্ট্র কায়েম করে সরকার স্বৈরতান্ত্রিক পন্থায় দেশ পরিচালনা করছে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আজকে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শত শত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে এই সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আন্দোলন করেই খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা হবে।’