জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হবে সর্বাধুনিক: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

জমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রায় দুইশ’ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ক্যাম্পাসে থাকবে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন আবাসিক হল, শিক্ষকদের জন্য আবাসিক ভবন, খেলার মাঠ, প্রশাসনিক ভবন, গবেষণাকেন্দ্র, লেক ও ট্রাম। গাছপালায় ভরা থাকবে ক্যাম্পাস। জগন্নাথ হবে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সর্বাধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়।’

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের মুজাহিদ নগর এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘ট্রাম দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যেন এক হল থেকে অন্য হলে সহজে যাতায়াত করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে প্রায় ৮০ ফুট চওড়া একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের জন্য সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা প্রথমে মাটি ভরাটের কাজে ব্যয় করা হবে। বাকি ১ হাজার কোটি টাকা অন্যান্য নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হবে।’

এক সময় কেরানীগঞ্জ ছিল বাতির নিচে অন্ধকার মন্তব্য করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আমার বাবার হাত ধরেই হাসনাবাদ এলাকায় প্রথম বিদ্যুতের পাওয়ার স্টেশন বসে। এসব এলাকার মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। তাই আমি এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আনার জন্য সিদ্ধান্ত নিই। আপনারা অনেক ভাগ্যবান। আগামী ৫ বছর পর বুঝবেন এই এলাকার কত মূল্য। কেরানীগঞ্জে পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোথাও কোনও শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না।’

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ প্রমুখ। ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

বাকি জমির মালিকদের মাঝে আগামী এক মাসের মধ্যে অধিগ্রহণের চেক বিতরণ করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।