মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। এদেরমধ্যে ৬ জন দুর্ঘটনাস্থলে, দুই জন ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও একজন ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে মারা যান। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিন জন।
হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আব্দুল বাসেদ জানান, মাওয়াগামী স্বাধীন পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসের ওপর পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসের আরোহীরা সবাই আত্মীয়-স্বজন ছিল। তারা লৌহজংয়ের কনকসার ইউনিয়নের ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহ আলম জানান, নিহতদের মধ্যে বর রুবেলের বাবা আবদুর রশিদ বেপারী (৭০), বোন লিজা (২৪), ভাগনি তাবাসসুম (৬) ও রেণু (১২), ফুপা কেরামত বেপারী (৭০), বরের প্রতিবেশী মফিজুল মোল্লা (৬৫), বরের ভাইয়ের ছেলে তাহসান (৪), মাইক্রোবাস চালক বিল্লাল (৪০) রয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এদের মরদেহ আছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি
দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জনের মরদেহ আছে। কিন্তু, ঢাকায় নেওয়া চার জন আহতের মধ্যে দুই জন মারা যায় বলে বিকালে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান। কিন্তু, সন্ধ্যায় তিনি জানান, ঢাকা নেওয়া আহত চার জনের মধ্যে দুই জন নয়, একজন মারা গেছেন। তার নাম রুনা (২৪)। তিনি বরের বড় ভাই সোহেলের স্ত্রী। এছাড়া আহত জাহাঙ্গীর মারা যাননি। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তাদের দাফন ও যাতায়াত ভাড়া বাবদ এ টাকা দেওয়া হবে।