সম্প্রতি ওই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় চাঁন মিয়ার। তিনি জানালেন, ১২ বছর ধরে গাজর আবাদ করছেন। প্রথম দিকে অল্প জমিতে চাষ শুরু করেন তিনি। লাভ হওয়ায় ধীরে ধীরে তিনি গাজর চাষের পরিমাণ বাড়াতে শুরু করেন। চলতি বছর তিনি ২০ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে আট বিঘার মতো জমির গাজর বিক্রি করেছেন। ফলন ও দাম-দুটোই ভালো পেয়েছেন।
গাজরের ইউনিয়ন জয়মন্টপ
সিংগাইরের জয়মন্টপ ইউনিয়নের অনেকে গাজর চাষ করেন। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এ ফসলের আবাদ করেন। যাদের জমি নেই তারা অন্যের বর্গা নিয়ে গাজর আবাদ করে লাভবান হয়েছেন।
ভাকুম গ্রামের হুকুম আলী গত ২৫ বছর ধরে গাজর চাষ করছেন। তিনি বলেন, অন্য সবজির চেয়ে গাজর চাষে শ্রম কম দিতে হয়, দামও ভালো পাওয়া যায়। এবার ৯ বিঘা জমিতে গাজর আবাদ করেছেন।
চাঁন মিয়া, জাহেদ আলী আর হুকুম আলীর মতো পার্শ্ববর্তী চর দূর্গাপুর গ্রামের আবদুল হান্নান, আক্কাস আলী, ভাকুম গ্রামের জালাল শিকদার, সুরুজ বেপারী, গোলাম নবী, আজিমপুর গ্রামের দুলাল শেখসহ অনেকেরই গাজর চাষে দিন বদলে গেছে।
এ বিষয়ে জয়মন্টপ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে গাজর চাষিদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, সিংগাইরের মাটি ও পরিবেশ গাজর চাষের উপযোগী। স্বাদ ও মানে উৎকৃষ্ট হওয়ায় সারাদেশেই এখানকার গাজরের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।
দূর্গাপুর গ্রামের পাইকারি ব্যবসায়ী আবু বকর জানালেন, এবার তিনি জয়মন্টপ এলাকায় প্রায় ৭০ বিঘা জমির গাজর কিনেছেন। ইতিমধ্যে ২৫ বিঘা জমির গাজর গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় বাজারে পাঠিয়েছেন। এতে তার প্রায় ১ লাখ টাকা লাভ হবে।
জয়মন্টপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন বলেন, স্থানীয়ভাবে একটি হিমাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকায় আরও হিমাগার থাকলে গাজরের বীজ ও গাজর সংরক্ষণ করে লাভবান হতো এলাকার কৃষক।