দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চেহারা বদলে যাবে: অর্থমন্ত্রী

টুঙ্গিপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আ হ ম মুস্তফা কামালপদ্মা সেতু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অসংখ্য কলকারখানা গড়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ার পর এই অঞ্চলের অর্থনীতির চেহারা বদলে যাবে। ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ইতোমধ্যে এখানে কর্মসংস্থানের জন্য একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্যাক্টরি তৈরি করে দিয়েছে সরকার। আপনা‌দের আর দুঃশ্চিন্তা করতে হবে না।’

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপু‌রে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে ৬১ ভাগ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। যারা লেখাপড়া করেছেন, সরকার তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভালো চাকরি পাওয়ার ব্যবস্থা করবে। যারা শিক্ষিত নন তারাও যেন কিছু করে খেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বে মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য অনেক কষ্ট করে। তারা কাজ করার মানুষ পায় না। আমাদের এখানে মানুষ অনেক আছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। মুজিববর্ষে সরকারের অঙ্গীকারের একটি হলো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দু’টি। একটি হলো—স্বাধীন দেশ, পতাকা আর ভূখণ্ড। অন্যটি হলো—এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। যেখানে মানুষ খাবার পাবে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকবে, বাসস্থানের অভাব থাকবে না, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না। অর্থাৎ আলোকিত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবকিছু করবে সরকার।’

সামাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অর্থমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ আগস্ট নিহত তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। সুরা ফাতিহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অর্থসচিব আ. রউফ তালুকদার, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমিন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।