রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ ঘোষণা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা রাজবাড়ী জেলায় বিভিন্ন সভা-সমাবেশসহ জনসমাগম বন্ধ করেছি।দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করে। যে কারণে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে যৌনকর্মীরা। তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা না থাকায় এই কয়দিন যৌনপল্লী বন্ধ করতে পারিনি। কিন্তু এখন চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় শুক্রবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আশেক হাসান বলেন, যৌনকর্মীদের খাদ্য নিরাপত্তায় আমরা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি পত্র দেই। সেখান থেকে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। যতদিন যৌনপল্লি বন্ধ থাকবে সেই কয়দিন প্রত্যেক যৌনকর্মীকে ৩০ কেজি চাল ও নগদ ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
দৌলতদিয়া আসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের সভানেত্রী ঝুমুর বেগম জানান, পুলিশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।