গাজীপুরে লকডাউন নয়, কড়াকড়ি আরোপ

গাজীপুর শহর, ফাইল ছবিগাজীপুরকে লকডাউন করা হয়নি, তবে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মহানগর পুলিশ ও জেলা প্রশাসন মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) এ কথা জানিয়েছে। কিছু গণমাধ্যমে গাজীপুর লকডাউন হওয়ার খবর প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে। এছাড়া লোকজনকে ঘর হতে বের হওয়া ও অন্য এলাকা থেকে গাজীপুরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছন মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি’র) পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন,  আইইডিসিআর’র নির্দেশনা ছাড়া কোনও এলাকা লকডাউন করা যায় না। লকডাউনের কথা বলে কাউকে বিভ্রান্ত করা ঠিক নয়। লকডাউন করা হলে আমরাই ঘোষণা দেবো। গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের ছাড়া কাউকে প্রবেশ কিংবা বের হওয়াতে শতভাগ ‘কড়াকড়ি আরোপ’ করেছি মাত্র।

মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন,  ‘গাজীপুর মহানগর এলাকায় বিপুল সংখ্যক শিল্প কলকারখানা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কয়েক লাখ শ্রমিক চাকরি করেন। এজন্য এখানে করোনাভাইরাস বিস্তারে মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গাজীপুরে করোনাভাইরাস ঠেকাতে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। অপ্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন,  বুধবার থেকে মহানগরের সব পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে। শ্রমিকেরা যাতে ঘরের বাইরে এসে জড়ো হতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জিএমপি’র পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, গাজীপুরের প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, টঙ্গী-কালীগঞ্জ মহাসড়ক, কাশিমপুর, বাড়ীয়া, টঙ্গীর কামারপাড়াসহ ১০টি পয়েন্টে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় যানবাহন প্রবেশ কিংবা বের হওয়াতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা মতে লকডাউন করা হবে। এখনও ওই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা যেন বাজার ও দোকানে যান। দুপুর ১২টার পর কাউকে রাস্তায় বের হতে দেওয়া হবে না। করোনার বিস্তার রোধে সবার সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।