স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন, সকল চিকিৎসক-নার্স কোয়ারেন্টিনে

লকডাউশরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে কর্মরত একাধিক নার্সের বাসার কাজ করা এক গৃহপরিচারিকার করোনা পজিটিভ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৪ মে) রাত ১১টা ৪২ মিনিটে স্বাস্থ্য প্রশাসন, শরীয়তপুরের ফেইসবুক পেইজে জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএম আবদুল্লাহ-আল-মুরাদ এই ঘোষণা দেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের এক নারী করোনা শনাক্ত হয়। ওই নারী গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কোয়ার্টারে থাকা চার নার্সের বাসায় রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ করেন। জ্বর-ঠাণ্ডা হওয়ায় গত ১ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। করোনা পজিটিভের বিষয়টি জানার পরই পুরো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লকডাউন করা হয়। এই ঘটনায় হাসপাতালের ১০ জন চিকিৎসক, ১৩ জন নার্স এবং ৩৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ১১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সিকদার আফ্রিদী রিজভী বলেন, ‘হাসপাতালটি লকডাউন করে দেওয়া হলেও বর্তমানে ভর্তি ১৩ জন রোগীর চিকিৎসা বিশেষ ব্যবস্থায় চালু রাখা হবে। নতুন করে জরুরি সেবার প্রয়োজনে রোগীদেরকে আপাতত পার্শ্ববর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএম আবদুল্লাহ-আল-মুরাদ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লকডাউন করা হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালের সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। হাসপাতালে কর্মরত চিকিকৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম চালুর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, জেলায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৯ জনের। এর মধ্যে নড়িয়া ও ডামুড্যা উপজেলায় দুই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।