যানজট-জনসমাগম এড়াতে আটকে দেওয়া হচ্ছে পাটুরিয়া ঘাটমুখী যান

পাটুরিয়া ঘাটমুখী যান ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছেজনসমাগম ও যানজট এড়াতে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটমুখী যানবাহন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আটকে দেওয়া হচ্ছে; যা ঘাট থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেলে বা অটোরিকশায় গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে স্বাভাবিকের তুলনায় ৮-১০ গুন বেশি। সরেজমিনে ঘুরে এই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়।

নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সারাদেশের মতো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবুও প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ নানা মাধ্যম ব্যবহার করে কৌশলে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উৎসবে যোগ দিতে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। এদের ঠেকাতে মহাসড়কে এবার কঠোর অবস্থানে জেলা পুলিশ।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান জানান, মানিকগঞ্জে লকডাউন শতভাগ কার্যকর করতে অন্য জেলার কাউকে এ জেলায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি এক উপজেলার লোক অন্য উপজেলায় যাতায়াতেও কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে তারা পাটুরিয়া ফেরিঘাটের প্রায় ৩৩ কিলোমিটার আগে মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে যানবাহন আটকে দিচ্ছে।

ফেরিতে পার হচ্ছে মানুষরবিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে সরেজমিনে মহাসড়কের গোলড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যানবাহনের দীর্ঘ সারি। পাটুরিয়া ঘাটমুখী বিনা কারণে আসা যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাসসহ ছোট পরিবহনগুলোকে বিপরীত দিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (চলতি দায়িত্বে) জিল্লুর রহমান জানান, তাদের কাছে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে, কোনও যাত্রীবাহী বাস পারাপার করা যাবে না। শুধু জরুরি সেবার আওতাধীন পরিবহন পারাপার করা হবে।

এদিকে রবিবার সকাল ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের হল রুমে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও চলমান কার্য‌ক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে  ওই সভার প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়েরর সচিব কবির বিন আনোয়ার, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ প্রমুখ।

সভায় জেলায় চলমান লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে  জেলা শহরসহ সব স্থানের বিপণি বিতান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। এছাড়া জেলার অভ্যন্তরে সরকারের বিভিন্ন দফতরে চাকরি করেন বা ঢাকা কিংবা বাইরের জেলার কোথাও অফিস করেন—এমন ব্যক্তিরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ গন্তব্যে না ফিরলে আর কাউকে জেলায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হবে না।