দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি ১১ সদস্যের

বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনমানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রেজার বিরুদ্ধে ১১ জন ইউপি সদস্য অনাস্তা প্রস্তাব আনার পর, এবার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। অশোভন আচরণ, দুর্নীতি, ইউপি সদস্যদের গায়ে হাত দেওয়াসহ নানা অভিযোগে এই দাবি জানানো হয়। মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাল্লা ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন। তিনি জানান, বাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী রেজা নিজের ইচ্ছা মতো পরিষদ পরিচালনা করেন। কোনও কিছু জানতে চাইলে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং গায়ে হাত তোলেন। মাসিক মিটিং না করে একক সিদ্ধান্তে অনিয়মসহ দুর্নীতি করছেন। এছাড়া বিগত দিনে টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপির অর্থ, গৃহহীনদের ঘর বরাদ্দ, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন কার্ডের বিপরীতে চেয়ারম্যান সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। অপরদিকে, ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (এনজিও) দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চলতি ও বয়েকা ট্যাক্সের আদায় করা ১২ লাখ টাকা পরিষদের তহবিলে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেন।

জানা যায়, গত ১৭ মে ইউপি সদস্যরা জরুরি সভা করে চেয়ারম্যান কাজী রেজার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনাসহ অপসারণ দাবি করেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন, মজিবুর রহমান, মজিবুর পীরসাহেব, মহিদুর রহমান খান, আব্দুল করিম, নূরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মনির হোসেন, বাসিয়া বেগম, সামসুন্নাহার ও বিলসিক বেগম। অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউপি সদস্যদের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্যরা আরও অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি তদন্তে জেলা প্রশাসক নির্দেশ দেওয়ার পরও হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এখনও তদন্ত করেননি। দুই-এক দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অনাস্থা প্রস্তাব তদন্ত না হলে ইউপি সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে অনশন করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ার করেন।

মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ফৌজিয়া খান বলেন, ‘বাল্লা ইউপি সদস্যদের অভিযোগের বিষয়টি পাওয়ার পর হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন এখনও তদন্ত হয়নি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলতে পারবেন।’

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বাল্লা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তবের বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।