ক্রেতার খোঁজে গোপালগঞ্জের গরু বিক্রেতারা

ক্রেতার অপেক্ষায় গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিক্রিতারাকুরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় গোপালগঞ্জেও বসছে গরুর হাট। হাটে পর্যাপ্ত গরু আসলেও নেই আশানুরুপ কেনা-বেচা। গরুর দামও অন্য বছরের তুলনায় কম। করোনার কারণে সাধারণ মানুষের আয়ের উৎস কমে যাওয়ায় ক্রেতাও কমেছে এবার। আর এতে দুঃচিন্তায় আছেন খামারিরা।

 

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জে পশুর হাট বসছে ১৩টি। পাশাপাশি এবার অনলাইনেও পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। বিষয়টি নতুন হলেও করোনার কারণে অনেকেই অনলাইনের দিকে ঝুঁকছেন। জেলার পাঁচ উপজেলায় পশু বিক্রির জন্য পাঁচটি অনলাইন পশুর হাট খোলা হয়েছে। বিক্রেতা ও ক্রেতারা সেখানে গিয়ে পশু বাছাই করে বেচা-কেনা করতে পারছেন। গোপালগঞ্জ অনলাইন গরুর হাটে গিয়েও (www.gopalganjhat.com) যে কেউ গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছেন।

বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে পর্যাপ্ত গরু আসছে। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। যারা হাটে আসছেন তাদের কেউ কেউ কিনলেও বেশিরভাগই গরু দেখে চলে যাচ্ছন। করোনায় আয় কমে যাওয়ায় অনেকে চাইলেও কোরবানি দিতে পারছেন না। গত বছর যারা একা পশু কোরবানি করেছেন এবার তাদের অনেকেই ভাগে কোরবানি করার চিন্তা-ভাবনা করছেন। স্বাভাবিকভাবেই গরুর বেচা-কেনা অন্যবারের তুলনায় অনেক কম। এতে খামারি ও ছোট ছোট প্রান্তিক কৃষকেরা পড়েছেন দুঃচিন্তায়। গরুর খামারিরা জানান, এবার গরুর যে দাম দেখা যাচ্ছে, এভাবে চললে আমরা মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়বো।

তবে স্বাস্থ্য বিধি মানার প্রবণতা খুব একটা দেখা যায়নি হাটে। অনেকে নানা অজুহাতের দোহাই দিয়ে হাটে আসছেন।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সরকার জানান, গোপালগঞ্জের পশুর হাটগুলোতে আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। হাটের পাশাপাশি এবার অনলাইনেও পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা আছে।

খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রত্যাশা শেষ কদিনের হাটে সম্ভাব্য ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।