রাস্তার পাশে কুড়ে ঘর বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বানভাসি পরিবার

বন্যায় প্লাবিত এলাকাগোপালগঞ্জে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। আগে গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা পানিবন্দি ছিল। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়ি, কাফুলাবাড়ি, রামনগর, কলাবাড়ি ও বৈকন্ঠপুর গ্রাম।

বন্যায় প্লাবিত এলাকা

এ নিয়ে জেলার ২০টি গ্রামের অন্তত তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ৫০০ পরিবার উঁচু এলাকার বিভিন্ন স্কুলে ও রাস্তার পাশে কুড়ে ঘর বানিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। এসব এলাকার ছোট বড় এক হাজারের বেশি পুকুর বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

রাস্তায় পাশে কুড়ে ঘর বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দুর্গতরা

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে মধুমতি নদীতে পানি এখনো বিপদ সীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং মধুমতি বিলরুট চ্যানেলে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দুর্গতদের সাহায্যের জন্য ৩০০ মেট্রিক টন চাল এবং শিশু, গো-খাদ্য ও শুকনা খাবারের জন্য ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।