‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাগোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেছেন। জিয়াউর রহমান কীভাবে তাদের মদত দেন, কীভাবে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেন এবং সহযোগিতা করেন তাও বলেছেন।’

এ সময় দলের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে একটি বর্বর ও নৃশংসতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। সেই দিন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকাংশ হত্যাকারীকে বিচারের মাধ্যমে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে। খুনিরা যেসব দেশে পালিয়ে রয়েছে সেসব দেশের সরকারের সঙ্গে সরকার কূটনৈতিকভাবে আলোচনা করেছে। তাদের দেশে ফেরত এনে রায় কার্যকর করা হবে। ইতোমধ্যে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী, তাদের দ্রুততম সময়ে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবে। বাকি ৩ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। এই টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করা বঙ্গবন্ধু জাতির সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। কিন্তু ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মোশতাক-জিয়া বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন।’