এ সময় দলের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে একটি বর্বর ও নৃশংসতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। সেই দিন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকাংশ হত্যাকারীকে বিচারের মাধ্যমে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে। খুনিরা যেসব দেশে পালিয়ে রয়েছে সেসব দেশের সরকারের সঙ্গে সরকার কূটনৈতিকভাবে আলোচনা করেছে। তাদের দেশে ফেরত এনে রায় কার্যকর করা হবে। ইতোমধ্যে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী, তাদের দ্রুততম সময়ে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবে। বাকি ৩ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। এই টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করা বঙ্গবন্ধু জাতির সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। কিন্তু ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মোশতাক-জিয়া বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন।’