নিখোঁজের ২১ ঘণ্টা পর জঙ্গল থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

 





গাজীপুরগাজীপুরের কালিয়াকৈরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে জেসমিন আক্তার (২৬) নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পাঠানপাড়া এলাকার সুলতান উদ্দিনের মেয়ে। মোবাইল ফোনে ডেকে নেওয়ার ২১ ঘণ্টা পর স্থানীয় একটি জঙ্গল থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ সফিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পেছনের জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, প্রায় তিন বছর আগে কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা এলাকার ওমর ফারুকের সঙ্গে বিয়ে হয় জেসমিনের। তাদের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত দুই মাস আগে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তালাকের পর থেকে জেসমিন তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা বোর্ড মিল শিয়ালের টেক এলাকায় থাকতো। শনিবার রাত ৮টার দিকে মোবাইলে একটি ফোন পেয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরদিন বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয়রা সফিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পেছনের জঙ্গলে জেসমিনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। জেসমিনকে বাড়ি থেকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ জঙ্গলে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্যাতন করে তাকে হত্যা মারা হয়েছে। তবে সে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল কিনা তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।