নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: কমিটির সভাপতি গ্রেফতার

আবদুল গফুরনারায়ণগঞ্জে পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের মামলায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাত দশটায় তল্লা রেললাইন এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে গফুরকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ সিআইডি পুলিশের একটি দল। শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে আবদুল গফুরের দুই দিনের রিমান্ডের আবেদন করে নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
শনিবার দুপুরে সিআইডি পুলিশের নারায়ণগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, মামলাটির তদন্তভার গ্রহণের পর থেকেই মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরকে সিআইডির নজরদারিতে রেখে বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তে তার গাফিলতি এবং অবহেলার সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় এই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে সিআইডির হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া তদন্তে যাদের দোষ প্রমাণ হচ্ছে তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সিআইডির জেলা পুলিশ সুপার। তিনি জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার অভিযুক্ত প্রায় ৩৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
ঘটনার জন্য মসজিদ কমিটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর গাফিলতি ও অবহেলার অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। এই মামলায় এর আগে তিতাসের আট কর্মকর্তা কর্মচারী, ডিপিডিসির দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে বিদ্যুৎ মিস্ত্রী মোবারক হোসেনের জবানবন্দী রেকর্ড করেছে আদালত। তিতাসের ৮ জন জামিনে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট ও গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে প্রায় অর্ধশত মুসল্লি দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়।