সরকারি টাকা ‘নয়-ছয়ে ওস্তাদ’ পিআইও কাউছারকে স্ট্যান্ডরিলিজ

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাউছার আহমেদ

সরকারি প্রায় ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাউছার আহমেদকে স্ট্যান্ডরিলিজ বা তাৎক্ষণিক বদলি করে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বাংলা ট্রিবিউনে গত ৭ নভেম্বর ‘সরকারি টাকা নয়-ছয়ে ওস্তাদ পিআইও কাউছার!’ শিরোনামে খবর প্রকাশের পর স্থানীয় মহলে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

অভিযোগের সত‌্যতা মিললে সুনির্দিষ্ট তথ‌্যের ভিত্তিতে বাংলা ট্রিবিউনের কাছে সমস্ত ঘটনা স্বীকার করেন পিআইও কাউছার আহমেদ। পরবর্তীতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্যোগ ব‌্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে উপ-সচিব লুৎফুর নাহার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়। গত বুধবার (১১ নভেম্বর) এই নির্দেশে পিআইও কাউছার আহমেদকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর পিআইও কাউছারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠান। সেখানে তিনি পিআইও কাউছারের বদলিসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে মহাপরিচালককে সুপারিশ করেন। এমনকি (পিআইও) কাউছার আহমেদের বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠানো হয়।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২২টি সেতু-কালভার্ট নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। শিডিউল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২০১৯ সালের ২৩ জুন। আর এসব কাজের জন‌্য ৯৫৯টি শিডিউল বিক্রি করে সরকারি আয় হয় ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। নিয়ম অনুযায়ী শিডিউল বিক্রির টাকা সাত কর্মদিবসের মধ্যে সরকারি তহবিলে জমা দিতে হয়।
অথচ শিডিউল বিক্রির দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে টাকা জমা না দিয়ে সমস্ত টাকা অবৈধভাবে রেখেছিলেন পিআইও কাউছার। এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে সদর উপজেলায় মারিয়া ও বিন্নাটি ইউনিয়নে দুটি জায়গায় মাটি ভরাটের জন‌্য মোট ১৮ মেট্রিক টন গম-চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব‌্যক্তি এবং পিআইও মিলে সেটিও লুটপাট করে নেওয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। 

বিস্তারিত জানতে পড়ুন: সরকারি টাকা নয়-ছয়ে ওস্তাদ পিআইও কাউছার!