তারাব পৌর নির্বাচন: সংঘর্ষের ঘটনায় ২ কাউন্সিলর প্রার্থীসহ গ্রেফতার ৬

রূপগঞ্জে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তারাব পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রূপগঞ্জ থানায় ১৪১ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর পুলিশ দুই কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, আগামী ১৬ জানুয়ারি তারাব পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন (ডালিম প্রতীক) ও অপর প্রার্থী রুহুল আমিন (উটপাখি প্রতীক) মিছিল শোডাউনের আয়োজন করে। সন্ধ্যার উভয়পক্ষের মিছিল নোয়াপাড়া মহিলা মাদ্রাসার সামনে মুখোমুখি হলে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সন্ধ্যা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন।

হামলাকারীরা চারটি মোটরসাইকেলে একটি প্রাইভেটকারসহ দুটি টেক্সটাইলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে রাত ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খাঁন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মাহীন ফরাজী, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান ও রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় বুধবার সকালে কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমিনের চাচাতো ভাই নাজমুল হাসান কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেনসহ ১৬ জন নামীয়সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৮০ জনকে আসামি করে এবং কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের ছোটভাই শাহজালাল বাদী হয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমিনসহ ১৫ জন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা ৩০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমিন ও আনোয়ার হোসেন এবং রাজিব, সোহেল, হাবিবুর রহমান ও সাইদুর রহমান নামে ছয় জনকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠায়।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকের মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে সে এলাকায় চার জন ম্যাজিস্ট্রেট টহলরত আছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে দুপুরে আটক দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মুচলেকা নিয়ে জামিন দেন।