চিরকুট লিখে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

ফরিদপুরের সালথায় চিরকুট লিখে এক প্রবাসীর স্ত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বড়বাংরাইল গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে মিতু আক্তার (২২) নামে ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সালথা থানা পুলিশ। মিতু ওই গ্রামের বকুল মেম্বারের একমাত্র মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার কুয়েত প্রবাসী মারুফ মিয়ার সঙ্গে ৫ বছর আগে বিয়ে হয় মিতুর। বিয়ের এক বছর পর স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে কুয়েত পাড়ি জমান মারুফ। এরপর থেকে মিতু বাবার বাড়ি থেকে নবকামপল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ালেখা করতেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে পরিবারের সাথে খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন মিতু। মঙ্গলবার সকালে মিতুর ঘুম থেকে উঠতে দেরি দেখে স্বজনরা ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে কোনও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে রুমে ঢুকে ঘরের আড়ার সঙ্গে মিতুর লাশ ঝুলতে দেখেন তারা। পরিবারের ধারণা, মিতু আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেননি কেউ।

এদিকে মিতুর শয়ন কক্ষে একটি খণ্ড খণ্ড চিরকুট পাওয়া যায়। খণ্ড খণ্ড চিরকুট মিলিয়ে দেখা যায়, এতে লেখা রয়েছে ‘আব্বু-আব্বু তোমরা আমাকে ক্ষমা করো। আমার জীবনে কিছু নেই। আর আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমি নিজের ইচ্ছায় মরছি, তোমরা আমাকে ক্ষমা করো।

সালথা থানার ওসি (তদন্ত) ‍সুব্রত গোলদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মিতু আত্মহত্যা করেছেন। তবে প্রকৃত কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।