যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে তুলকালাম

ফরিদপুরের সালথায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে থাকা এক সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তি আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। এ ঘটনার জের ধরে উত্তেজিত জনতার হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন পুলিশের একজন এসআই।

উত্তেজিত জনতা ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবিতে থানা ঘেরাও করে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুঁড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। অপরদিকে উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এসিল্যান্ডের অফিসে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মৃত মোসলেম মোল্যার ছেলে জাকির হোসেন মোল্যা বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে সেখানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনি উপস্থিত হন।

জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাজা ভেঙে যায়। আহত জাকির হোসেনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, জাকির হোসেনের আহত হওয়ার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরও গ্রামবাসী জড়ো হয়। এরপর সেখানে সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপরেও হামলা করে। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সালথা থানা ঘেরাও করে। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

অপরদিকে রাত ১০টার দিকে এসিল্যান্ডের অফিসে ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।

সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের ওপরে হামলা হয়। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমির বক্তব্য জানার জন্য তাঁর মোবাইলে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।