বিরোধ মেটাতে হিলিতে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠক

করোনার টিকা কার্ডসহ ট্রাক চালকদের দেশে প্রবেশ ও সীমিত পরিসরে পণ্য আমদানি-রফতানি ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এটি মিটিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুন) বিকেল পৌনে ৫টায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আহ্বানে হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈঠকটি চলে।

বৈঠকে ভারতের হিলি এক্সপোটার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলাউদ্দিন মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক ধিরাজ অধিকারীর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন- আশুতোষ সাহা, রমানাথা সাহা, গনেশ সাহা, রাজেশ আগারওয়ালা, বিপ্লব চাকী।

বাংলাদেশের পক্ষে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- শাহীনুর রেজা শাহীন, পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, ইদ্রিস আলী মিঠু ও বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।

বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সীমিত পরিসরে পণ্য আমদানি-রফতানি চালু ও করোনার টিকা প্রদানের কার্ড নিয়ে ভারতীয় ট্রাক চালকদের দেশে প্রবেশের দাবি জানানো হয়। পক্ষান্তরে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এসব দাবি না মানা এবং পণ্য রফতানি বন্ধের হুমকিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের কারণে আজকের বৈঠকে দুই পক্ষই দুঃখ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে বন্দর দিয়ে করোনা পরিস্থিতির মাঝে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম আরও গতিশীল করা যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তারা বলেন, একইসঙ্গে বন্দরের ভেতরে পণ্যের চালান ও ওজন কম হওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষের মাঝে আলোচনা হয়। সর্বশেষ দুই পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপাতত বন্দর দিয়ে সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু থাকবে।

হিলি স্থলবন্দরের এই দুই ব্যবসায়ী আরও বলেন, এছাড়াও সকাল সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ থেকে খালি ট্রাকগুলো ভারতে চলে যাবে। এরপর দ্রুত বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চালু হবে। বিকেল সাড়ে ৪টার পর বন্দরে পণ্য খালাসের পর ভারতীয় ট্রাকগুলো ফেরত যাবে। ট্রাক চালকদের টিকার বিষয়ে আমরা তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি, যতদ্রুত সম্ভব সবাইকে টিকার আওতায় আনতে। এ সময় তারা আমাদেরকে জানিয়েছে, তাদের এক হাজার ২০০ চালকের মধ্যে ৪০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের অচিরেই টিকার আওতায় আনবে। বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করতে দুদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিজ নিজ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মেটানোর সিদ্ধান্ত হয়।